করোনার প্রভাবে জীবিকা সঙ্কটে থাকা দারিদ্র্য জনগোষ্ঠীর মধ্যে বেড়ে গেছে বাল্যবিয়ের প্রবণতা। এই পরিস্থিতিতে কন্যাসন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকা পিতা-মাতা বাল্যবিয়েকেই মনে করছে সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায়।
বাংলাদেশের অন্যতম সামাজিক ব্যাধির নাম বাল্যবিয়ে। আইন অনুযায়ী, ১৮ বছর তবে ক্ষেত্রবিশেষে ১৬ বছর মেয়েদের বিয়ের ন্যুনতম বয়সের কথা বলা থাকলেও গ্রামীণ এলাকায় তার আগেই ৬০ ভাগ মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হয়। সাম্প্রতিক স্বাস্থ্য এবং জনমিতি জরিপে এ তথ্য ওঠে এসেছে।
সম্প্রতি কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার জরিপ বলছে, দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকা, সামাজিক নিরাপত্তার অভাব এবং বাল্যবিয়ে রোধে প্রশাসনের নজরদারি না থাকা এর অন্যতম কারণ।
তবে করোনাকালে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে দরিদ্র মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিচ্ছেন উন্নয়নকর্মীরা।
এই ব্যাপারে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাল্টি সেক্টরাল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আবুল হোসেন জানান, বর্তমানে স্থানীয় প্রশাসন করোনা মোকাবেলায় ব্যস্ত থাকায় বাল্যবিয়ের মতো সামাজিক সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করতে পারছেন না বলে জানালেন সংশ্লিস্টরা।
তারা জানিয়েছে, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ এবং সামাজিক সহযোগিতাই পারে জনগণকে বাল্যবিয়ের বিপক্ষে সচেতন করতে।