
প্রকাশ: ২০২০-০৬-২৮ ১৬:৩৭:০৯ || আপডেট: ২০২০-০৬-২৮ ১৬:৩৭:০৯
সাগরবাণী ডেস্ক▪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী সুমাইয়া বেগম হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে নিষ্পত্তির আশ্বাস দিয়েছেন নাটোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহরিয়াজ। রোববার (২৮ জুন) বিকেলে শহরের বলাড়িপাড়া মহল্লায় নিহত সুমাইয়ার বাড়িতে গিয়ে তার মাসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এ আশ্বাস দেন।
সুমাইয়ার মা নুজহাত সুলতানা দ্রুত সময়ের মধ্যে ন্যায়বিচারের দাবি জানালে জেলা প্রশাসক অভিযোগপত্র (চার্জশিট) প্রদানের পর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন। এ সময় নাটোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহাঙ্গীর আলমও উপস্থিত ছিলেন।
সুমাইয়া ঢাবির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। সম্প্রতি তার পড়াশোনা শেষ হলেও মাস্টার্সের ফল প্রকাশিত হয়নি। ২০১৯ সালের ১৪ এপ্রিল সুমাইয়া প্রেম করে হরিশপুর গ্রামের মোস্তাককে বিয়ে করেন। সুমাইয়ার বাবা সিদ্দিকুর রহমান মেয়ের দিকে তাকিয়ে বেকার জামাই মোস্তাকের চাহিদা পূরণ করে আসছিলেন। প্রায় আট মাস আগে সিদ্দিকুর রহমান মারা যাওয়ার পরও জামাইয়ের চাপ অব্যাহত ছিল। বাড়ি ভাড়ার টাকায় সংসার চালিয়ে দুই ছেলের খরচ, জামাইয়ের চাহিদা পূরণে হিমশিম খাচ্ছিলেন সুমাইয়ার মা নুজহাত সুলতানা।
এ কারণে চাকরি করে সংসারের হাল ধরতে চেয়েছিলেন সুমাইয়া। তিনি বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু বেকার স্বামী মোস্তাক তা মেনে নিতে চায়নি। বার বার শারীরিক নির্যাতন চালাত সুমাইয়ার ওপর।
গত সোমবার সকালেও সুমাইয়ার ওপর নির্যাতন চালালে সংজ্ঞাহীন সুমাইয়াকে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে সবাইকে জানায়। এ ঘটনায় প্রথমে কোনো পক্ষ মামলা করতে রাজি হয়নি। পরে নাটোর থানা পুলিশ একটি ইউডি মামলা রেকর্ড করে লাশ ময়নাতদন্ত শেষে মায়ের কাছে হস্তান্তর করে।
ওই দিন বিকেলে শহরের গাড়িখানা গোরস্থানে সুমাইয়াকে দাফন করা হয়। পরে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তার সন্দেহ হলে তিনি নিহত সুমাইয়ার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। একপর্যায়ে সোমবার দিবাগত রাত ১টায় নিহত সুমাইয়ার মা নুজহাত সুলতানা বাদী হয়ে জামাই মোস্তাক ও ওই পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি মোস্তাকসহ সবাইকে গ্রেপ্তার করে