সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেটস্কির চালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও হকাররা খোঁজে বেড়ান স্বর্ণ। যা নতুন করে ভাবিয়ে তুলছে কক্সবাজারের মানুষকে।
সরজমিনে গিয়ে সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে দেখা যায়, ব্যস্ত সৈকতের হকার ও বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা নেমে পড়েছেন স্বর্ণের খোঁজে।
দিন শেষে মিলছে স্বর্ণের আংটি, চেইন বা তার চেয়ে বেশি কিছু। কিন্তু রহস্যজনক কারণে অনেকে প্রকাশ করতে চাচ্ছেন না আসলে কি পাচ্ছেন তারা।
ডাব ব্যবসায়ী জসিম বলেন, লকডাউনের প্রতিদিনই সৈকতে আসি স্বর্ণের খোঁজে। পেয়েছি দুইটি আংটি। এখনো খোঁজা অব্যাহত রেখেছি আরও স্বর্ণ পাওয়ার আশায়।
একই অবস্থা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে একটি আংটি পেয়েছি। পরে শুনি সেটি হিরার আংটি। ২৫ হাজার টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছে একজন। লকডাউনে টাকাটা খুব কাজে আসছে। কাজ না থাকায় প্রতিদিন আসি সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে।
গলার চেইন পেয়ে মহাখুশি রহিম উদ্দিন। তিনি বলেন, মূলত এগুলো বিভিন্ন সময় পর্যটকদের কাছ থেকে পড়ে গিয়ে থাকতে পারে। এটিতে অন্য কোন কারণ নেই।
পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতা মোয়াজ্জেমের মতে, যদি এখানে স্বর্ণের রেনু হয়। তাহলে এটি আমাদের জন্য ভাল একটি সম্ভাবনার কথা। তবে আমাদের পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত। না হলে এতো মানুষ কেন সৈকতে স্বর্ণের জন্য নামবে