রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মুরগির দাম চলতি সপ্তাহে কেজিতে আরো পাঁচ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। তবে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম হালিতে এক থেকে দুই টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকায়।
পেঁয়াজের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। দেশি ও আমদানি করা শুকনা মরিচ, হলুদ, দারচিনি, লবঙ্গ, ধনে, তেজপাতা ও আদার দাম ঊর্ধ্বমুখী।
টিসিবির (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) হিসাব অনুযায়ী চলতি সপ্তাহে পেঁয়াজ, মরিচ, ছোলা ও মসলাজাতীয় কয়েকটি পণ্যসহ মোট প্রায় ১৮টি পণ্যের দাম পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩ টি পন্যের। কমেছে সয়াবিন তেল, জিরা, এলাচসহ মোট পাঁচটি পণ্যের দাম।
শুকনা মরিচের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে দেশিটা বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায় এবং আমদানি করা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। দেশি হলুদ কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১৪০ থেকে ১৫০ এবং আমদানি করা হলুদের কেজি ১৫০ থেকে ২২০ টাকা। সব ধরনের আদা কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। দারচিনি কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়, লবঙ্গ কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে হাজার টাকায়। ধনিয়া কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা, বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায়। তেজপাতা কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়। আর ছোলা কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে ৬৫ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিক্রেতারা বলছেন, ঈদকে সামনে রেখে প্রতিবছরই এসব পণ্যের চাহিদা ও দাম বেড়ে যায়। এ বছরও বেড়েছে, তবে তুলনামূলকভাবে বেশ কম বেড়েছে। আর করোনা সংকটের এই সময়ে বাজার অসহনীয় মাত্রায় চলে যাওয়ার আশঙ্কাও তেমন একটা নেই।